# নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কটিয়াদী বাজারে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। বাসায় হামলা চালিয়ে শাটারে কুপিয়েছে। কাভার্ড ভ্যান ভাংচুর করেছে। ভাংচুর করেছে গরিব ব্যবসায়ীর ভ্যানগাড়ি। প্রায়ই চাঁদার দাবিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় অভিযোগ করতে গেলে ওসি বদলি হয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে জিডিও নেননি। চরম আতঙ্কে কটিয়াদী বাজারের ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে কটিয়াদী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমের ওপর ফারদিন নামে এক যুবকের নেতৃত্বে হামলা হয়। এসময় দোকান থেকে দেড়লাখ টাকা ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে মাসুম অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় বাজরের ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, কিছুদিন পর পর বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা দাবি করে। না দিলেই হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে থাকেন বলেও তারা জানান। তবে ফারদিনের বাবা সোহাগ আকন্দ পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ী মাসুমের ভাই টনির নেতৃত্বে ফারদিনের ওপর হামলা হয়েছে। তবে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের আশ্রয়ে থাকা কামারকোণা গ্রুপ এবং বীর নোয়াকান্দি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর এক পর্যায়ে একদল সন্ত্রাসী উপজেলা সদরের লেকপাড় রোডে হামলা চালায়। সেখানে শ্যামা ওয়েল মিলের মালিক শ্যামল পোদ্দারের বাসার কাছে তাঁর কাভার্ড ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো-ম-১১-৩০৩০) হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসীরা ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। সাবেক সচিব শফিক আলম মেহেদীর ছোটভাই মাহবুবুর রহমানের একই এলাকার বাসায় হামলা চালিয়ে শাটারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। এক দরিদ্র ঝালমুড়ি ব্যবসায়ীর রিকশা ভ্যানের গ্লাসও ভাংচুর করেছে।
শ্যামল পোদ্দার এ ঘটনায় কটিয়াদী থানায় গেলে ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন কোন জিডি গ্রহণ করেননি। জানিয়েছেন, তিনি বদলি হয়ে গেছেন। এই মুহুর্তে জিডি নেয়ার সুযোগ নেই।
তবে এ বিষয়ে ওসি শাহাদাত হোসেনকে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন করলে জানান, শ্যামল পোদ্দার জিডি বা মামলার কথা কিছু বলেননি। জিডি বা মামলা করলে নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।